কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রীদের মারধর ও এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান ইশার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পরপরই গোটা ক্যাম্পাস উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মোরশেদা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এ সময় আরো পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে বলে হল সূত্রে জানা যায়। মারধরের শিকার হওয়া অন্য ছাত্রীরা হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শারমিন সুলতানা তমা, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের আফিফা আক্তার রিভু, ভূতত্ত্ব বিভাগের ঋতু ও স্বর্ণা।
হলের আবাসিক ছাত্রীরা জানান, সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগ সভাপতি ইফফাত জাহান এশা মোরশেদার পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন। তাকে জরুরি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া ছাত্রীদের পাঠানো ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, হলের সিঁড়ি ও রুমের মেঝেতে রক্তের ফোঁটা জমে আছে।
এ ঘটনায় হলের ছাত্রীরা ক্ষিপ্ত হলে ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর রুমের দরজা বন্ধ করে আটক থাকলে তাকে বের করে আনার চেষ্টা করা হয়। ঘটনার সময় হলের আবাসিক শিক্ষক উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি ক্রমেই অস্বাভাবিক অবস্থা ধারণ করে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ নেত্রীদের হামলা খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরে তারা হল নেতাদের প্রতিরোধ উপেক্ষা করে সুফিয়া কামাল হলের সামনে এসে জড়ো হয়। এ সময় তারা ছাত্রলীগ নেত্রী ইশার কর্মকাণ্ডকে ক্রিমিনাল অ্যাক্ট আখ্যা দিয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বহিষ্কার এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীর রগকাটার অপরাধে তার শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
এরই প্রেক্ষাপটে ইশাকে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ বহিষ্কার থেকে বহিষ্কান করা হয়।
ইশাকে বহিষ্কারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর তার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরে ছাত্রলীগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়।