এলিয়েনদের নিয়ে অনেক দিনের আগ্রহ হলেও তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে এখনো কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। যদিও চাঁদের মাটিতে মানুষের প্রথম পা রাখার পঞ্চাশ বছর পূর্তি সামনের বছরেই। কিন্তু এখনও সমাধান হয়নি একটি রহস্যের। আর তা হলো- নিল আর্মস্ট্রং-এর পরেই দ্বিতীয় মানুষ হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রাখা এডুইন বাজ অলড্রিন দাবি করেছিলেন- অ্যাপোলো ১১ যানে করে চাঁদের দিকে যাওয়ার সময়ে তিনি ও তাঁর তিন সঙ্গী একটি রহস্য উড়ন্ত বস্তুকে দেখেছিলেন, যা এলিয়েন বা ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান বলেই তাদের বিশ্বাস।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মার্কিন প্রদেশের ওহায়োতে অবস্থিত ‘দ্য ইনস্টিটিউট অফ বায়ো অ্যাকোয়াস্টিক বায়োলজি’ অলড্রিন ও তার সঙ্গীদের ‘ভয়েস প্যাটার্ন’ পরীক্ষা করে দেখেছেন, তারা মোটেই মিথ্যে বলছেন না। যা বলছেন, সেটা তারা বিশ্বাস করেই বলছেন! নিশ্চিত ভাবেই এই ঘটনা ‘ইউফো তত্ত্ব’তে বিশ্বাসীর দাবিকে আরও জোরালো করে তুলবে।
২০০৫ সালে ‘ফার্স্ট অন দ্য মুন: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ নামের একটি ডকুমেন্ট্রিতে অলড্রিন জানিয়েছিলেন তিনি ও তার সঙ্গীরা একটি ইউফো দেখেছিলেন চাঁদে যাওয়ার পথে। পরবর্তী সময়ে অলড্রিন দাবি করেছিলেন, তার সেই বক্তব্যকে সম্পাদনা করে ডকুমেন্ট্রিতে ব্যবহার করা হয়েছিল। তার ইঙ্গিত ছিল, তার ওই বক্তব্যকে ‘গুরুত্বহীন’ করতেই এমনটা করা হয়েছিল। গত বছরে অলড্রিন জানিয়েছিলেন, তিনি ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন।
অবশেষে অলড্রিন-সহ বাকিদের বক্তব্যকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁরা যা দাবি করেছেন, তা ‘সত্যি’ ভেবেই বলেছেন। অলড্রিন অবশ্য জানিয়েছেন, যুক্তি দিয়ে তিনি তার দাবিকে ব্যাখ্যা করতে পারবেন না। কিন্তু যা বলছেন, তা মিথ্যা নয়, তিনি সত্যিই মহাকাশে অজানা উড়ন্ত বস্তুকে ভেসে বেড়াতে দেখেছিলেন।
সারা পৃথিবী জুড়েই গত কয়েক দশক ধরে বহু মানুষ দাবি করেছেন, তারা আকাশের গায়ে অজানা গোলক দেখেছেন, যা আসলে ভিনগ্রহের প্রাণীদের মহাকাশযান। সেই নিয়ে বিতর্ক আজও চলেছে। অলড্রিনের মতো কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বের এমন দাবি সেই বিশ্বাসকেই আরও জোরালো করে তুলল যে, ভিনগ্রহের বুদ্ধিমানরা পৃথিবীর উপরে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। এবেলা।