আরিফের জবানবন্ধি
তারেক আরো পাঁচ দিনের রিমান্ডে
জেলা সংবাদদাতা
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
নারায়ণগঞ্জ: চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা দায় স্বীকার করে আদালতে স্বকিারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়েছেন র্যাব-১১’র চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন। চন্দন সরকার হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে গিয়েছেন সঈদ তারেক।
বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার মাধ্যমে তিনি এ দায় স্বীকার করেন। একই আদালতে সাইদ তারেককে চন্দন সরকার হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
দুপুর সাড়ে ১২টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন মেজর আরিফ। এতে তিনি হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, নির্দেশদাতা, কীভাবে অপহরণ, হত্যা ও লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়- সব ঘটনার বর্ণনা করেন আরিফ।
জবানবন্দি শেষে আরিফ হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি মামুনুর রশিদ মন্ডল জবানবন্দির বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেন।
মামলার শুরু থেকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অংশ নেওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, জবানবন্দিতে আরিফ সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। কীভাবে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে তার সব কিছু আদালতে বলা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা উচিত হবে না।
আরিফ হোসেন সেভেন মার্ডারের ঘটনার মামলার আসামি। তিনি আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর উপ অধিনায়ক ছিলেন। ২৭ এপ্রিল সাতজনকে অপহরণের পর ২৯ এপ্রিল রাতে সে সময়ের জেলা প্রশাসক মনোজ কান্তি বড়াল, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, র্যাব-১১ এর সিইও তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ, ক্রাইম প্রিভেনশনাল স্পেশাল কোম্পানির কমান্ডার লে. কমান্ডার এমএম রানা, ফতুল্লা থানার ওসি আক্তার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিনকে প্রত্যাহার করা হয়।
৩০ এপ্রিল ৬ জন ও ১ মে অপর একজনসহ ৭ জনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাকে র্যাব থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পরে সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীও তাদের অকালীন অবসরে পাঠায়।