পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের সেনাবাহিনীর কর্পোরাল শহিদুল ইসলাম (৩৮) মারা গেছেন। আজ শনিবার সকালে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে বিকেলে মঠবাড়িয়ায় এসে পৌছায়। প্রয়াত সেনাসদস্য শহিদুল বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জন্ডিসে ভুগছিলেন। সে উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের শাখারীকাঠি গ্রামের রফিজ উদ্দিন মুন্সীর ছেলে ।
আজ শনিবার বিকেলে তার লাশ হেলিকপ্টারযোগে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে নিয়ে আসা হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। খুলনার জাহানাবাদ সেনানিবাসের মেজর মো. জামিল হোসেন মঠবাড়িয়ায় তাঁর লাশ গ্রহণ করে তাঁর পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করেন। পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সযোগে তাঁর লাশটি গ্রামের বাড়ি উপজেলার শাখারীকাঠিতে নিয়ে যাওয়া হলে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
অন্যদিকে একই দিনে আজ শনিবার সকালে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সৌদিপ্রবাসী মিজানুর রহমানের(৩৪) লাশ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পৌঁছলে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নিহত মিজানুর রহমান উপজেলার শাখারীকাঠি গ্রামের আবদুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে।
নিহত মিজানুরের বোন জামাই নজরুল ইসলাম জানান, গত ১০ নভেম্বর রাতে সৌদি আরবের মদিনায় কর্মস্থল থেকে ডিউটি শেষে বাসায় ফিরে সামনের দোকানে কেনাকাটা করতে যাওয়ার পথে গাড়ির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। গতকাল শুক্রবার তার লাশ সৌদি আরব থেকে বিমানযোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আজ শনিবার সকালে তার লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।