বাংলাদেশে চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকার শাহবাগের বিক্ষোভ মধ্যরাতে পুলিশ আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতায় গড়ায়।
এর এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামানের বাসবভনে ঢুকে ভাংচুর করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক আসিফুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে তারা ভিসির বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে এবং প্রতিটি স্থানে ভাংচুর চালায়।
রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমের সামনে আসেন এবং বলেন প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন এই কাজ যারা করেছে তারা শিক্ষার্থী হতে পারে না।
এদিকে ভিসির বাসার ভাংচুরের নানা ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে দেখা যাচ্ছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে বাড়ীর প্রবেশ মুখের কিছু দুরেই টেবিল চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। খাবারের টেবিল ভাংচুর, বেডরুম রীতিমত তছনছ করা হয়েছে। বিভিন্ন কাগজপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে সবশেষ খবর অনুযায়ী সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত, জানা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রচুর পরিমাণ পুলিশ এবং র্যাব অবস্থান করছে।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আন্দোলনকারী একবার মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রাত দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে সোমবার সকাল ১১টায় আলোচনার প্রস্তাব করেন।
তিনি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “দীর্ঘসময় ধরে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন,আজ সোমবার সকাল ১১টায় সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য তাদের আহবান জানাচ্ছি”।