কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য মেঘ তৈরি করার বিষয়টা পুরানো। তবে সূর্যকে ঢাকতে মেঘের কথা বোধ হয় কেউ কোনোদিন শোনেনি। এবার কৃত্রিম মেঘ তৈরি করে বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে সূর্যের তাপ কমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে শুরু হল গবেষণা। বিশ্বের কয়েকটি ধনী দেশে এই গবেষণা শুরু হয়েছে।
হার্ভার্ড, কেমব্রিজ, এমআইটি, অক্সফোর্ডসহ বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিং’ শীর্ষক এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় যেভাবে ছাইয়ের আস্তরণ বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে সূর্যকে আড়াল করে দেয়, সেই প্রক্রিয়ার নিয়ম মেনেই জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর উপায় বের করা হচ্ছে।
তবে আগ্নেয়গিরির ছাই বায়ুমণ্ডলে যতদূর ওঠে, তারও অনেক ওপরে উঠে কৃত্রিম মেঘ তৈরির উপাদান ছড়ানো হবে। এর ফলে ওই আস্তরণ কয়েক বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। বলা হচ্ছে, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের সর্বোচ্চ স্তরে ওই কৃত্রিম আস্তরণ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে গবেষণা চলছে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল অবশ্য সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কার্যকারিতা এবং পরিণাম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাদের তৈরি ফাঁস হওয়া একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্ভব নয়।
কৃত্রিমভাবে জলবায়ু তৈরির ফলে বিশ্বের কিছু কিছু অঞ্চলে অস্বাভাবিক বন্যা, খরা বা অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি দেখা দিতে পারে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকেই।