রাশিয়া ব্রিটেনের বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ এনেছে যে ব্রিটেন রুশ গুপ্তচর হত্যা চেষ্টা নিয়ে যেসব খবর ছড়াচ্ছে তা একদম বানোয়াট খবর ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এর মাধ্যমে ব্রিটেন আগুন নিয়ে খেলছে। রাশিয়া আরো বলেছে, ব্রিটেনকে এর খেসারত দিতে হবে।
ব্রিটেনের মাটিতে সামরিক মানের নার্ভ গ্যাস ব্যবহার করে রুশ এক ডাবল এজেন্টকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে মাসখানেক আগে।
তারপর থেকে এই ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দুষছে ব্রিটেন। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ এই বৈঠকটি ডেকেছিল রাশিয়া। সেখানে দেশটি তার অভিযোগ তুলে ধরে বলেছে ব্রিটেন ভয়ানক এক অপপ্রচারের যুদ্ধে নেমেছে।
যে রাসায়নিক ব্যবহার করে সের্গেই স্ক্রিপালকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল সেটি শুধু রাশিয়াতেই নয় আরো বহু দেশে প্রস্তুত হয়, নিরাপত্তা পরিষদকে বলছিলেন জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত।
তিনি বলেন, ব্রিটেনের উচিত ছিল আরো ভালো মানের গল্প তৈরি করা।
ওদিকে ঐ হামলার শিকার হয়েছিলেন সের্গেই স্ক্রিপালের মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালও। তিনি ধীরে ধীরে সেরে উঠলেও তার বাবা এখনো হাসপাতালে রয়েছেন আশংকাজনক অবস্থায়। তাদের দুজনকে নিরিবিলি শহর স্যালিসবারির একটি পার্কের বেঞ্চে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো। সের্গেই স্ক্রিপাল নিজের দেশের তথ্য পাচার করতেন যুক্তরাজ্যকে।
তাকে হত্যা চেষ্টার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার এক কূটনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে।
অস্ট্রিয়ায় ১০ বছরের নিচে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা
অস্ট্রিয়ার নতুন জোট সরকার স্কুলে ১০ বছরের কম বয়সী মেয়েদের মাথায় স্কার্ফ পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব করেছে। অস্ট্রিয়ার শিামন্ত্রী বলেছেন, নতুন প্রস্তাবিত এই ‘শিশু সুরা আইন’ সামনের গ্রীষ্মেই কার্যকর করা হবে এবং ইসলামিক প্রভাব থেকে অস্ট্রিয়ার সংস্কৃতি সংরণের েেত্র একটি ‘ঐতিহাসিক আইন’ হবে।
অস্ট্রিয়ার প্রধান মুসলিম দল বলছে এই পরিকল্পনা মোটেই গঠনমূলক নয়। তারা বলছে কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক স্কুলের খুব অল্পসংখ্যক মেয়েই হিজাব পরে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ঠিক কতজন শিশু প্রভাবিত হবে তা এখনো ধারণা করা যাচ্ছে না। ইসলামি ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হলে মুসলিম মেয়ে শিশুদের মাথায় স্কার্ফ পরতে হয়।
অস্ট্রিয়ার একটি রেডিওকে দেয়া এক সাাৎকারে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্টজ বলেন, ‘অস্ট্রিয়ার ভেতরে একাধিক ধরনের সমাজব্যবস্থা যেন গড়ে না ওঠে সেটি নিশ্চিত করতে চাই আমরা’।
গত বছর ইউরোপের অভিবাসী সঙ্কট চলাকালে প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ অস্ট্রিয়ায় আশ্রয় চায়, যাদের প্রায় ২% মানুষকে সেখানে আশ্রয় দেয়া হয়। গত বছরের নির্বাচনে জয়ী হওয়া সেবাস্টিয়ান কুর্টজের রণশীল দল এই নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। ভাইস চ্যান্সেলর হেইঞ্জ ক্রিশ্চিয়ান স্ট্রাখে এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন ইসলামিক রাজনীতি থেকে শিশুদের রার উদ্দেশ্যে এমন প্রস্তাব এনেছে সরকার।
এক সংবাদ সম্মেলনে কুর্টজ ও স্ট্রাখে বলেন, এ নিয়ে স্কুলগুলোয় একটি সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যদিও তাদের বক্তব্যের সমর্থনে তারা কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেননি। প্রস্তাবিত আইনের বিস্তারিত এখনো ঠিক হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ১০ বছর পর্যন্ত বয়সী মেয়েরা এই আইনের আওতাধীন থাকবে। অস্ট্রিয়ায় এর আগের জোট সরকার প্রকাশ্যে নিকাবসহ মুখ ঢেকে রাখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে নারীদের হিজাব পরার েেত্র কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না।
অস্ট্রিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়েছেন।