প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে চুক্তি সম্পাদিত হওয়া সত্ত্বেও তাদের ফেরত নিতে এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার গণভবনে বাংলাদেশে সফররত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব সলিল শেঠির সঙ্গে বৈঠকে এই কথা বলেন তিনি। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব সংবাদ সম্মেলন করেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা আরও বলেন, মিয়ানমারের কয়েকজন মন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন ও বাস্তুচ্যুত
রোহিঙ্গাদের দূরবস্থা দেখে গেছেন। দ্রুত ও কার্যকরভাবে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে ইতিমধ্যে তাদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় অত্যন্ত সচেতন। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সেখানে অস্থায়ীভাবে তাদের আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করছে।
বৈঠকে সলিল শেঠি বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী পরিচালিত নির্যাতন একটি অপরাধ। আমি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেছি, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের ওপর নির্যাতনের প্রমাণ উপগ্রহের ছবি ও ভিডিও থেকে পেয়েছি। রোহিঙ্গা নারীরা এখনও ভীত-সন্ত্রস্ত্র। মিয়ানমারকে অবশ্যই পূর্ণ নিরাপত্তা ও সুরক্ষিতভাবে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের পক্ষে এই ব্যাপারে আরো প্রচারণা ও চাপ থাকা উচিত।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গার ব্যবস্থাপনায় খুবই চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।