ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের অন্যতম সহযোগী দাউদ মার্চেন্টের ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তিনদিনের রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চান মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রসুল।
পরে বিকেলে শুনানি শেষে সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আলী তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকা সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরু মিয়া তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে দাউদ মার্চেন্টকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রসুল সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
তখন আবেদনে বলা হয়, আসামি বৈধ পাসপোর্ট ছাড়াই বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি যে কোনো ধরনের বড় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরিকল্পনা করছিলেন কিনা কিংবা ভারতে কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটিয়ে বাংলাদেশে আত্মগোপন করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
তবে দাউদ মার্চেন্টের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী উজ্জ্বল।
শুনানিতে তিনি বলেন, দাউদ মার্চেন্ট ২০০৯ সাল থেকে কারাগারে। গত সোমবার পাঁচ বছর পর কারাগার থেকে বের হলে তাকে আটক করে পুলিশ। তিনি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়।
তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রসুল আদালতকে জানান, কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার দু’দিন পর বুধবার ভোর পাঁচটায় রাজধানীর খিলগাঁও থেকে তাকে আটক করা হয়।
গত ১৯ নভেম্বর আদালত থেকে জামিন পান দাউদ মার্চেন্ট। জামিনের নথিপত্র কারাগারে পৌঁছে গত ২৯ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।
ভারতের মুম্বাইয়ের সঙ্গীত প্রযোজক প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের সত্ত্বাধিকারী গুলশান কুমার ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট আন্ধেরি এলাকার একটি মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় ২০০১ সালে গ্রেফতার হন ভাড়াটিয়া খুনি দাউদ মার্চেন্ট। ২০০২ সালে আদালত তাকে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ দেন।
এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দাউদ মার্চেন্ট। ২০০৯ সালে মায়ের মৃত্যুর কারণে ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যান তিনি।
আর ওই বছরের ২৮ মে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুড়ালিপাড়া থেকে এক সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই সময় তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে একটি মামলাও হয়।