ঢাকা: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারিখ ঘোষণা করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন হবে যথাক্রমে ২৪,২৬ ও ২৯ এপ্রিল। সম্মেলনের স্থান পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, এ সংগঠনের ১০৯টি সাংগঠনিক ইউনিট, ৫০টি আন্তর্জাতিক ইউনিট, অর্ধ সহস্র উপজেলা ইউনিট এবং ৪৫৫০টি ইউনিয়ন ইউনিট রয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাইতে বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় সবগুলো আংশিক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ইউনিটে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাইফুর রহমান বলেন, উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া আগামী ২৪, ২৬ ও ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুর রহমান বলেন, বর্তমান কমিটি শতভাগ সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব শেষ করতে যাচ্ছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, মোট ৬৮টি জেলা কমিটি তাঁরা করেছেন। বেশ কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেগুলো সম্মেলনের আগে শেষ করা হবে। গঠনতন্ত্র অনুসারে সম্মেলন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকবে। এরপরও যেকোনো ক্ষেত্রে নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আগামী ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই সাইফুর রহমানকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। গণতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ দুই বছর। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে এই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার কথা ছিল।
মেয়াদপূর্তির ছয় মাসেও সম্মেলন না করায় গত ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগকে সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত ৩১ মার্চ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কড়া নির্দেশ আসে। সম্মেলন করতে হবে মে মাসের মধ্যেই। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ যেন না পার হয়, সেটিও জানিয়ে দেন তিনি।
ছাত্রলীগের নেতিবাচক শিরোনাম ভাবেন না নেতারা
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘সংবাদের শিরোনামের করেন সাংবাদিকেরা। আমরা নেগেটিভ-পজিটিভ (ইতিবাচক-নেতিবাচক) শিরোনাম নিয়ে ভাবি না।’
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, নেতিবাচক সংবাদের শিরোনামের দায়িত্ব আপনাদের (সাংবাদিক)। সংবাদের শিরোনাম কোনটি করবেন, সেটি সম্পূর্ণ আপনাদেরেই বিষয়। কোনটি শিরোনাম হবে তার সিদ্ধান্ত আপনারাই নেন। আপনারা লিখবেন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, বিষয়টা কিন্তু তা না। শিরোনামের নেগেটিভ-পজিটিভ বিষয় নিয়ে আমরা ভাবি না।