মার্কিন কংগ্রেসে জ্বালানী, বাণিজ্য এবং নীতি-নৈতিকতা বিষয়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য কংগ্রেসওমান ইভেটি ডি ক্লার্ক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সকলকে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমক্র্যাটদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অভিবাসনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বনের পর অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণের পরও ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হননি। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সী সকলের প্রতি এই আহ্বান রেখেছেন কংগ্রেওম্যান ক্লার্ক।
কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ক্লার্ক এদিন ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিরোধী পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘রিপাবলিকানরা কখনোই অভিবাসীদের কল্যাণ চায়নি। ট্রাম্প আরো কয়েকধাপ এগিয়ে অ-আমেরিকান কর্মকাণ্ডে জনজীবনকে অতীষ্ঠ করে তুলেছেন।’
অভিবাসনের মর্যাদা নিয়ে বাড়াবাড়ির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ডেমক্র্যাটিক পার্টির এই কংগ্রেসওম্যান বলেন, ‘যারা মেধা আর শ্রম দিয়ে এই আমেরিকা গড়েছে, সেই অভিবাসীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। অথচ নিজের ঘরেই রয়েছেন অভিবাসী, যিনি দীর্ঘদিন অবৈধভাবে বসবাস করেছেন।’
গত শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকার গ্রিন হাউজ রেস্টুরেন্টে “বাংলাদেশি অ্যান্ড আমেরিকান সোসাইটি ইউএসএ” নামক একটি সংঠনের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও কমিউনিটি লিডার মোহাম্মাদ আবুল বাশার।
মতিউর রহমান লিটুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও অতিথি ছিলেন সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক (কিউনি) বোর্ড অব ট্রাস্টি মেম্বার, ডক্টর উনা এস টি ক্লার্ক। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রুকলীনে অবস্থিত নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইনগ্রিড জোসেফ, সিলভিয়া জি এশ, এভেলিন লাপোর্টে, লিসা ওট্টেলী, হেরিয়েট থম্পসন।
ডক্টর উনা এসটি ক্লার্ক তার বক্তব্যে বিপদে আপদে সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলে অনুষ্ঠানে তাকে “অভিবাসীদের মা” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা গিয়াস আহমেদও ছিলেন। সকলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের আমেজে বক্তব্য রাখেন।