কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা রোববার বেলা সোয়া একটায় নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
মেডিকেল বোর্ড সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য হলেন অধ্যাপক মোঃ শামছুজ্জামান (অর্থোপেডিক্স), অধ্যাপক মনসুর হাবীব (নিউরোলজি), অধ্যাপক টিটু মিয়া (মেডিসিন) ও সোহেলী রহমান (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার বেলা ১১টায় পরিচালকের কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রাপ্ত তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ২৯ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার দিন ঠিক ছিল। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাঁকে আদালতে হাজির করা যাবে না। এর পরই বিষয়টি সবার আলোচনায় আসে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে ওই দিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির মহাসচিবের সাক্ষাৎ স্থগিত হওয়ার পর। এর পরই বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সংবাদে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তাঁরা জোর দাবি জানান, দলীয় চেয়ারপারসনকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। যাতে তিনি নিজের পছন্দমতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। একই রায়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় এবং আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।