আল-আমিন আহমেদ সালমান, সুনামগঞ্জ প্রধিনিধি:-
সুনামমঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওর পারের ক্ষুদ্র জলশায়গুলোর পানি শুকিয়ে চলছে ইজারাদারদের মাছ ধরার মহোৎসব ।
ইজারাদাররা পাম্প-মেশিন দিয়ে টাংগুয়ার হাওর পারের ক্ষুদ্র জলশায় গুলো শুকিয়ে ধরছে মাছ। ইজারাদারগন এলাকার প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক
দলের নেতা হওয়ায় এলাকার সাধারন মানুষ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা।
এবং ইজারাদারগন রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ায় স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।এভাবে মাছ ধরলে হাওর এলাকার মাছ ও জলজ উদ্ভীদের বংশ বিস্তার কমে যাবার আশংকা করছে হাওরের সাধারন মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে,তাাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ঘোড়তি গাঙ্গ,চিপা গাঙ্গ,উরস নগর দোয়ার,ঘনিয়ার বিল,ধরের কান্দা ও বাড়ির লামা জলশায়ের তলা শুকিয়ে চলছে ইজারাদারদের মাছ ধরার মহোৎসব।যার ফলে আমাদের কাছ থেকে দেশীয় প্রজাতির চির চেনা মাছগুলো শিং, মাগুর, কৈ, টেংরা, পুঁটি, শোল, টাকি, বাইল্যা, মিনি, বেদা, রানী, বাইম,কাইলা,কৈলা,পাবদা,ঘইন্যা,তারা বাইম,মকা, ইছা, তিতনা ইত্যাদি মাছ গুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
হাওর গবেষক সজল কান্তি সরকার গ্রামবাংলা নিউজকে জানান, হাওরের জলশায় গুলো সেঁচার কারনে হাওরের পরিবেশের ওপর মারাত্নক প্রভাব পড়ছে। মাছ ও জলজ উদ্ভীদের বংশ বিস্তারের ব্যাঘাত ঘটছে। তাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হাওরের পরিবেশ গুলো রক্ষা করা।
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সাধারন সম্পাদক পিযুষ রঞ্জন পুরকায়স্থ টিটু জানান, হাওরের পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এবং হাওর কবি জীবন কৃষ্ণ সরকার জানান, “দুঃখ জনক হলেও সত্য যে এসব ইজারাদাররা কোন না কোন ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর আশ্রয়,প্রশ্রয়ে এই কাজগুলো করে থাকে।যার চড়া মূল্য দিতে হয় আমাদের সসমগ্র হাওরবাসীকে।এর থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করছি।”