এতে ঢাবির শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী শাহাদাত এবং ঢাকা কলেজের চার শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা কলেজের আহত ৪ জনের মধ্যে দু’জনের আঘাত গুরুতর। আহতরা হলেন- শামিম, আবির, রিফাত ও মিথুন। এরা সবাই ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। এরা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা কামালের সাথে রাজনীতি করে। কামাল কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের অনুসারী।
আহতেদের মধ্যে, শামিমের মাথায় মারাত্মক জখমের কারণে সাতটি সেলাই করা হয়। আবিরের মাথায়ও আঘাতের ফলে ফেটে গেছে। ঢাবির শিক্ষার্থী শাহাদাতের মাথায়ও ৪টি সেলাই করা হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ঢাবি শাহনেওয়াজ হোস্টেলের সামনে বিজয় কর্ণার রেস্টুরেন্টে ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় তারা কয়েকজন মেয়েকে নিয়ে কমেন্ট করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাবির শিক্ষার্থী শাহাদাতের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় শাহাদাতকে ঢাকা কলেজের কয়েকজন মারধর করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। ঘটনাস্থলে পাশে থাকা শাহনেওয়াজ হোস্টেলের অন্য শিক্ষার্থীরা এসে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীকে মারধর করে। এ সময় মারধর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে ঢাকা কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শামীমের ও আবিরের মাথা ফেটে যায়। আহত হয় আরো দু’জন। পরে ঢাকা কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাহনেওয়াজ হোস্টেলের সামনে অবস্থান করলে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাত সাড়ে ১২দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে পারলেও মারধরকারী ঢাবির বাকি শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের (বর্তমানে কমিটি স্থগিত) পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এটা শাহনেওয়াজ হল ছাত্রলীগের এস এম জোহা এবং মিঠুনের নির্দেশে হয়েছে। তবে প্রতিবেদকের পক্ষে তাদের কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহাদাত জানান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের হোস্টলের সামনে এসে মেয়েদের বাজে কমেন্ট করেছে। এটা আমার ভালো লাগেনি। তাই তাদের নিষেধ করলে তারা আমাকে মারধর করে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান জানান, ঢাবি শিক্ষার্থীরা অকারণে আমার বন্ধুদের মারধর করে। হয়তো আমরা ওইখানে আড্ডা দিয়েছি তাদের এটা ভালো লাগেনি।
মারধরের ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলে, আমরা দুই পক্ষকে ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগকে ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানি বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। আমরা প্রক্টরিয়াল টিম পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত।