বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন)-এর মধ্যে মোটর ভেহিকল এগ্রিমেন্ট (এমভিএ) চুক্তির আওতাধীন ভারত-বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রাক, বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল সহজ হয়ে যাবে এবং এর ফলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন সচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় আইএএস।
২৬ মার্চ (সোমবার) বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাতে কলকাতার এক পাঁচতারকা হোটেল পার্টিতে যোগ দেওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতা কালে তিনি এ কথা বলেন। তবে বিবিআইএন-এ ভুটান অংশগ্রহণ করবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন সচিব। তিনি জানান ‘ভুটান এই বিবিআইএন’এ যোগদান করবে কি না সেটা আলোচনা সাপেক্ষ কিন্তু এই চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে ভারত-বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রাক, বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল সহজ হয়ে যাবে এবং অর্থনীতি ও পরিবহনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে’।
বিবিআইএন নিয়ে এদিন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকও করেন আলাপন বন্দোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে তিনি জানান ‘সমস্ত সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের পিছনে যে অর্থনৈতিক ও যোগাযোগগত বন্ধন থাকা প্রয়োজন তা নিয়ে আজ আমাদের মধ্যে সুন্দর আলোচনা হয়েছে’।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের জুনে থিম্পুতে দক্ষিণ এশিয়ার এই চারটি দেশের মধ্যে গাড়ি চলাচলের বিষয়ে চুক্তি হয় এবং এই উপ-অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবে দেখা দিয়েছিল এই চুক্তিটি। কিন্তু বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া-নেপাল এই চুক্তিতে সমর্থন জানালেও ভুটান সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠের আপত্তির মুখে চুক্তিটির রেটিফিকেশন প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। বাংলাদেশ কিংবা নেপাল তাদের জন্য ঝুঁকি না হলেও ভারতকে ঝুঁঁকির কারণ হিসাবে দেখছে ভুটান। তাদের ধারনা এ ধরনের আঞ্চলিক সীমান্তে কিছু বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর বাস রয়েছে। এই সড়ক বাস্তবায়ন হলে তাদের সেই আবাসস্থল বিপন্ন হতে পারে। এই পাহাড়ি দেশটি মনে করে এধরনের আঞ্চলিক সড়কের ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব হলেও পরিবেশগত ঝুঁকি থেকে যাবে। তাছাড়া এমনিতেই ভুটানে গত কয়েক বছরে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে, তার ওপর ভারতীয় যানবাহন চলাচল শুরু হলে এই চাপ আরও বাড়বে, এতে যানবাহনের সমস্যা ও দূষণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।