মীর মোহাম্মদ ফারুক,গাজীপুর: ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শারীরিক কসরত ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের অবদানকে স্মরণ না করায় কালীগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাগন ক্ষুব্ধ হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, দিবসটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার সকালে উপজেলার আরআরএন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ। এ সময় অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ।
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর উপজেলা চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা উল্লেখ না করায় ওই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহযোগীতায় তাদেরকে অনুষ্ঠানস্থলে ফিরিয়ে আনলেও সেখানে তারা বেশীক্ষণ অবস্থান করেননি।
এদিকে দুপুরে একই মাঠে অনুষ্ঠিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোস্তফা মিয়া (০১৭৩৫৫৮৮৪৯০) সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা আজ কালিগঞ্জে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। কিন্তু স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অবজ্ঞা করা হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে নানা শ্রেনী পেশার মানুষের নাম উল্লেখ করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এড়িয়ে যান। সেকারনে মুক্তিযোদ্ধাগন ক্ষুদ্ধ হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশকে মুঠোফোনে (০১৮৪২২২৭৭১৩, ০১৭৮৩৮৬৯০২০) একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। অনুষ্ঠান বয়কটের কোন বিষয় হয়নি।