ধর্ষণ, জঙ্গিহানা, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়– সব মিলিয়ে আমরা একটুও ভালো নেই। এমন ‘নেতিবাচক’ পরিবেশে ‘ইতিবাচক’ থাকা কি আদৌ সম্ভব? চেষ্টা করলে ব্যাপারটা বোধহয় একেবারে অসম্ভব নয়। এই আটটি টিপস মানলেই আপনার জীবন অনেকটাই ‘মধুময়’ হতে পারে-
১. নানা বিষয় জানার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত জানতে গিয়ে জানার আগ্রহে যেন ভাটা না-পড়ে। ব্যর্থ হলেও ভেঙে পড়বেন না। আরও বেশি জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে এগিয়ে যান।
২. একমাত্র ঈশ্বর বা অতি-প্রাকৃত শক্তি ছাড়া কারও কাছে মাথা না-নোয়ানোই ভালো। আত্মবিশ্বাসী হন, নিজের উন্নতির জন্য আপনাকেই মাথা তুলতে হবে।
৩. হাসি মুখে থাকার চেষ্টা করুন। সবার সঙ্গে সেই হাসি ভাগ করে নিন। দেখবেন, আপনার আশপাশের মানুষ সাড়া দিচ্ছেন। এই ভাবে নিজের চারপাশে পজিটিভ এনার্জি ছড়িয়ে দিন।
৪. সুযোগ পেলেই চেনা মানুষের ছোট্ট কাজেরও প্রশংসা করুন। এতে অন্যদের মন খুশিতে ভরে যাবে। বিনিময়ে তারাও আপনার প্রশংসা করবেন। নিজের আশপাশে গঠনমূলক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব এভাবেই।
৫. কোনো ভালো কাজ করার পর নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ান। নিজের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করায় কোনো ভুল নেই। এতে কাজের আগ্রহ বাড়বে। পাশাপাশি বাড়বে সেই কাজের গুণমানও।
৬. এমন লোকের সঙ্গে মিশুন, যারা ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন এবং কথায় কথায় নালিশ করেন না। ভালো সঙ্গও কিন্তু আপনাকে উজ্জীবিত করতে পারে। তবে অনেকেই ভালো সঙ্গর গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারেন না।
৭. খোলা মনে নিজের মত প্রকাশ করুন। আপনি ভুল হতে পারেন, কিন্তু এ ভাবেই নতুন কিছু শিখতে পারবেন। যতক্ষণ না নিজেকে মেলে ধরবেন ততক্ষণ বুঝতে পারবেন না, আপনি কি জানেন আর কতটা ভালো করে জানেন।
৮. নিজের পরিবর্তে অন্যের ওপর নজর রাখা সম্ভব নয়। মাথায় রাখুন, আপনি শুধু নিজেকে পাল্টাতে পারবেন। তাই, যা করবেন তার দায়িত্ব আপনার। যেকোনো কাজই হবে আপনার হাত ধরে এবং আপনার মাধ্যমেই।