বন্দুকধারীকে হত্যার মাধ্যমে ফ্রান্সে সুপারশপে পণবন্দি ঘটনার অবসান ঘটেছে। এ ঘটনায় মোট তিনজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে ১৬ জন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এ ঘটনাকে ’ইসলামি সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বন্দুকধারীর নাম রেদোয়ান লাকদিম। তার বয়স ২৫। তিনি ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এ পক্ষ থেকে এ হামলা চালিয়েছেন বলে ফরাসি পুলিশ দাবি করেছে। তিনি পৃথক হামলার পর ফরাসি পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে।
গত ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর প্যারিস হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার সাথে জড়িত সালেহ আবদেলসালামের মুক্তি দাবি করেছিলেন রেদোয়ান লাকদিম।
বিভিন্ন সূত্রের খবরে বলা হচ্ছে, শুক্রবারের ঘটনায় বন্দুকধারী প্রথমে একটি গাড়ি আটকে একজনকে হত্যা করে। এরপর লোকটি আরেক শহরে এক পুলিশকে গুলি চালিয়ে আহত করে। সেখান থেকে বন্দুকধারী আট কিলোমিটার দূরের খেবে শহরে যায়। সেখানে একটি সুপারমার্কেটে ঢুকে বন্দুকধারী লোকজনকে জিম্মি করে।
স্থানীয় একটি রেডিও স্টেশনকে উদ্ধৃত করে ফরাসি বার্তা সাংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, হামলাকারী বন্দুকধারী ইসলামিক স্টেটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে প্যারিস হামলার প্রধান সন্দেহভাজন সালাহ আবদেস্লামের মুক্তি দাবি করছিল। ২০১৫ সালে প্যারিসে ঐ হামলা ১৩০ জন নিহত হয়।
পুলিশ হামলাকারী বন্দুকধারীকে মরোক্কান বংশোদ্ভূত বলে বর্ণনা করছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে লোকটি পরিচিত ছিল।
এজন ফরাসি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ছিঁচকে অপরাধের জন্য পুলিশের খাতায় তার নাম ছিল। কিন্তু সে যে উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকছে সেটা তাদের জানা ছিল না।
২০১৫ সালের পর থেকে বেশ কয়েকবার উগ্রবাদী হামলার শিকার হয়েছে ফ্রান্স। ’১৫ সালের নভেম্বরে প্যারিসে এক হামলায় ১৩০ জন নিহত হলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ওই মাসেই ফ্রান্সের বন্দর নগরী মার্সেইর রেলস্টেশনে ছুরি হাতে ৩০ বছর বয়সী এক আফ্রিকান নাগরিক হামলা চালালে দুই নারী নিহত হন। আইএস ওই হামলাকারীকে নিজেদের সদস্য বলে দাবি করে।