আমাদের আইনী প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করতে হবে। এর পর রাজপথে যেতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান দেশের সার্বিক অবস্থাকে কলঙ্কজন অধ্যায় বলাও যথেষ্ট নয়। ১৯৭৫ এর সাংবিধানিক একদলীয় শাসনের চেয়ে অনেক নিম্নমানের একদলীয় শাসন চলছে। এর চেয়ে নিম্নমানের শাসন আর হতে পারেনা। প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে জনসভা করে জনগণের কাছে ভোট চাইছেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রাখা হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খাতা কলমে সব আছে কিন্তু আসলে কিছু নেই। ভয় ভীতি দেখিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছিলেন নিম্ন আদালত নির্বাহী বিভাগের অধীনে দিলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবেনা। এর জন্য তাঁকে অপসারন করা হয়েছে। অপসারণ করতে কোন আইনের প্রয়োজন হয়নি। এসময় তিনি বলেন, এই সরকার নতুন পথ দেখিয়েছে। যদি সরকারের বিরুদ্ধে কোন বিচারক রায় দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে নিজ দলের ছেলেপেলেদের নামিয়ে দেবেন। মিছিল মিটিং হবে। দুদক তো বসেই আছেন। দুর্নীতির মামলা করে বিতর্কিত করে দেবেন। এর পর তাকে নিজ ইচ্ছায় বিদায় নিতে হবে।
এসময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, সেগুলোকে খন্ডিত করা যাবে কিন্তু বিচ্ছিন্ন করা যাবেনা। আজ সব জায়গা থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দেয়া হচ্ছে। শিশু পার্ক থেকে শহীদ জিয়া নাম মুছে দেয়া হবে। কিন্তু তার নাম যতোই মুছে ফেলা হোক তিনি মানুষের অন্তরে থেকে যাবেন। মওদুদ আহমদ আরো বলেন, বর্তমানে স্বাধীনতার চেতনা হল যতো পারো দুর্নীতি কর। ব্যাংক লুট কর। শেয়ার মার্কেট লুট কর। গত এক বছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা বাইরে গেছে। এগুলো সব করেছে সরকারী দলের লোকজন ও তাদের আত্মীয়রা। এগুলো জনগণের টাকা। সরকারি ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই। নির্বাচন যতো এগিয়ে আসবে ততো আরো বেশি টাকা পাচার হবে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার চেতনা হল বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করা। বেছে বেছে গুম করো। সব শিক্ষাঙ্গন আমাদের দখলে নাও। ভিসি আমাদের হতে হবে। নিম্ন আদালত আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে।
সংগঠনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম মিয়ার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন -অ্যাড. ফজলুর রহমান প্রমুখ।