বেলা সোয়া দুইটায় মৎস্য ভবন ও শিল্পকলা একাডেমিসহ আশপাশের এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মকর্তাদের উৎসবমুখর পদচারণ। অনেকে খণ্ড খণ্ড শোভাযাত্রা নিয়ে এখানে আসছেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও নিজ নিজ এলাকা থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে আসতে থাকেন। ঢাকঢোলসহ বিভিন্ন ধরনের বাদ্যবাজনায় উৎসবের আমেজ ছিল এ এলাকায়। অনেকে ভুভুজেলা বাজাতে বাজাতে আসেন।
মৎস্য ভবনের সামনে দেখা যায়, তেজগাঁওয়ের সরকারি শিশু পরিবারের একদল মেয়ে ব্যান্ডের বাজনা বাজাচ্ছে। এভাবে কিছুক্ষণের মধ্যে ওই এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী আলাদা ব্যানার নিয়ে শোভাযাত্রা শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে এবং নবাব আবদুল গণি রোড দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দিকে যান। শোভাযাত্রা নৌকাও নিয়েও আসেন কেউ কেউ। ছিল ঘোড়ার গাড়ি। শিক্ষা ভবনের পেছনে ও হাইকোর্টের মাজারসংলগ্ন গেটের সামনের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, দোয়েল চত্বরের দিক থেকে হাজারো মানুষের স্রোত আসছে। এই পথ দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারা অধিদপ্তর শোভাযাত্রা নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যায়।
এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই পথ দিয়ে সচিবালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে স্টেডিয়ামে যান। এখানে দেখা গেল, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর উদ্যোগে বিশাল আকৃতির জাতীয় পতাকা নিয়ে এগোচ্ছেন একদল হিজড়া। বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী এভাবেই শোভাযাত্রা করে স্টেডিয়ামের দিকে যান। কেউ কেউ অবশ্য তখন ফিরেও আসতে থাকেন। তবে শোভাযাত্রার কারণে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল একপ্রকার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ পথচারীকে ভোগান্তিতেও পড়তে হয়।