সিলেট প্রতিনিধি :: যে কোন আপদকালীন সময়ে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত হয় ফায়ার সার্ভিস (দমকল বাহিনী)। মানুষের জান মাল রক্ষায় নিজের জীবন বিলিয়ের দেওয়ার ইতিহাস আছে এই বাহিনীর। কিন্তু এ বাহিনীর যদি জনবল, উদ্ধার যন্ত্র সংকটে তারা নিজেরাই আপদে থাকেন। তবে জনগনের ভোগান্তি কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমান যোগ্য।
সংকটপূর্ন অবস্থায় আছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ফায়ার স্টেশন। ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা এ স্টেশন আজ পর্যন্ত রাজস্ব ভূক্তি হয় নি। যে কারনে বাড়ছে না দাপ্তরিক অগ্রগতি। সাথে ব্যাঘাত হচ্ছে নানা উদ্ধার কাজে।
অনুসন্ধানে জানা যায় এ স্টেশনে ২৬ জন লোকের জায়গায় ড্রাইভার সহ আছেন মাত্র ৯ জন। যা খুবই অপ্রতুল। তাছাড়া দেখা যায় উদ্ধার যন্ত্রের সংকট।
গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধার যন্ত্র স্পেডার, র্যাম জেক ও নেই এ স্টেশনে!! এমন কি সাধারণ স্ট্রেচারের ও অভাব রয়েছে! অপরিপূর্ণ এ ফায়ার স্টেশন চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারী সদস্যদল।
গত সাপ্তাহে ফেঞ্চুগঞ্জ সামাদ প্লাজা আন্ডারগ্রাউন্ডে গাড়ি থেকে আগুন লাগলে প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টা করে ব্যার্থ হয় ফেঞ্চুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। পরে সিলেটের টিম ডাকা হলে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
কিন্তু পর্যাপ্ত যন্ত্র ও জনবল থাকলে প্রথম দফায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারত ফেঞ্চুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস।
এ স্টেশনের নানা সংকট নিয়ে আলাপ করলে ফায়ার সার্ভিসের সিলেট বিভাগীয় সহকারী পরিচালক তনয় বিশ্বাস ক্ষোভ করে বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ ফায়ার স্টেশন নিয়ে খুব কষ্টে আছি। দীর্ঘ থেকে এ স্টেশনের পদমঞ্জুরি কিসের জন্য কেন আটকে আছে জানি না।
জোড়া তালি দিয়ে এ স্টেশন চালাতে হচ্ছে। জনবল ও উদ্ধার যন্ত্রের সংকটের কারনে উদ্ধার কাজে ব্যাঘাত ঘটে মানুষের ক্ষতির পরিমান বাড়ে।
সমাধানের ব্যাপারে তিনি বলেন, পদমঞ্জুরি না করলে দাপ্তরিক কোনু সমাধান নাই! কিন্তু পদমঞ্জুরি বা রাজস্বভূক্তি কেন আটকে আছে তা উনার জানা নাই।
বিষয়টির ব্যাপারে সিলেট ৩ আসনের সাংসদ আলহা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানা যায় এ বিষয়টি সমাধান করে ফেঞ্চুগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ঐ সব সংকট দূরিকরনের প্রক্রিয়া চলছে।