এর আগে আজ সকালে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে তাঁদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে মোবাইলে পাঠানো এক খুদে বার্তায় বলা হয়, মরদেহগুলো নিয়ে বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ বেলা তিনটায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি পার্কিং-১–এ অবতরণ করবে। বিকেল চারটায় আর্মি স্টেডিয়ামে তাঁদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে মরদেহগুলো নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। নয়টার দিকে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
যেসব যাত্রীর মৃতদেহ ঢাকায় আনা হবে, তাঁরা হলেন ফয়সল আহমেদ, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আক্তারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান, সানজিদা হক, হাসান ইমাম, আখি মণি, মিনহাজ বিন নাসির, এফ এইচ প্রিয়ক, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানবিন শশী রেজা, উম্মে সালমা, অনিরুদ্ধ জামান, নুরুজ্জামান ও রফিক উজ জামান।
যে চার বিমান ক্রুর মৃতদেহ আনা হবে, তাঁরা হলেন আবিদ সুলতান, পৃথুলা রশীদ, খাজা হোসেন মোহাম্মদ শফি ও শারমিন আক্তার নাবিলা।
১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ড্যাস ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ৪ ক্রুসহ বিমানের ৭১ জনের সবাই হতাহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি, ২২ নেপালি ও ১ জন চীনাসহ ৪৯ জন নিহত হন। আর ১০ বাংলাদেশি, ৯ নেপালি ও ১ মালদ্বীপের নাগরিকসহ ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের কাঠমান্ডুর তিনটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। আর নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ নেওয়া হয় টিচিং হাসপাতালের মর্গে।