২০০৯-মিরপুর-ত্রিদেশীয় সিরিজ
২০১২-মিরপুর-এশিয়া কাপ
২০১৬-মিরপুর-এশিয়া কাপ
২০১৮-মিরপুর-ত্রিদেশীয় সিরিজ
২০১৮-কলম্বো-নিদাহাস ট্রফি
উপরের একেকটি লাইন যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের একেকটি হতাশার গল্প। প্রতিবারই ফাইনালে উঠে শিরোপা না জেতার বেদনা নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ।
তবে এগুলোর মধ্যে এতদিন সবচেয়ে বেশি দুঃখ নিয়ে হাজির হয়েছিলো ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনাল। পাকিস্তানের কাছে শেষ ওভারের মীমাংসা হওয়া ম্যাচে মাত্র দুই রানের পরাজয় সেদিন কাঁদিয়েছিলো কোটি সমর্থককে। পেশাদার ক্রিকেটারের খোলস ছেড়ে সেদিন চোখ ভাসিয়েছিলো সাকিব-মুশফিকরাও।
এবার হয়তো সেই ২০১২ কেও ছাড়িয়ে যাবে ২০১৮ সালের কলম্বো। একবারে শেষ মূহুর্তে এসে স্বপ্ন হতাছাড়া হয়েছে এদিন প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। শুরু থেকে কোনঠাসা হয়ে থাকা বাংলাদেশ দল শেষ ১০ ওভারে দারুণভাবে ফিরেছিলো ম্যাচে।
১৮তম ওভারের টানা চারটি ডট বল দিয়ে মোস্তাফিজ দারুণভাবে নিজেকে চিনিয়েছেন আরো একবার। পুরো প্রেমাদাস তখন চুপ হয়ে গেছে ফিজের বোলিং ভেল্কিতে। পঞ্চম বলে বাই থেকে আসে একরান। আর শেষ বলে উইকেট। ম্যাচ চলে যায় বাংলাদেশের হাতে।
বিশেষ করে ১৮তম ওভারের শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ঝুলে ছিলো বাংলাদেশের পক্ষেই। কিন্তু সব গোলমাল করে দিলো ১৯তম ওভারটি। রুবেল হোসেনের ওই ওভারে ২২ রান নিয়েছেন দিনেশ কার্তিক। যেটা হয়তো ভারতীয়দের কাছেও ছিলো প্রত্যাশার চেয়ে হাজারগুণ বেশি।
এরপর শেষ ওভারে বল দেয়া হলো অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকারের হাতে। এই রকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যা খুবই অবাক করার মতো। টিভিতে ধারাভাষ্যকাররাও বিষয়টি নিয়ে নিজেদের বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।
যদিও ছয় বলে ১২ রানের চ্যালেঞ্জে সৌম্য দারুণভাবেই আটকে রেখেছিলেন ভারতকে। পঞ্চম বলে উইকেটও নিয়েছেন। যদিও শেষ বলে দিনেশ কার্তিকের ছক্কায় সব শেষ হয়ে যায়।
তবে আগে থেকে অধিনায়ক অন্যভাবে চিন্তা করলে শেষ ওভারের জন্য কোন নিয়মিত বোলারকে রেখে দেয়া যেত কি না সেটি চিন্তার খোরাক জোগায়।