সিইসি বলেন, ‘গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই। কখন কোন তারিখে নির্বাচন হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে বলতে পারি, সব নির্বাচন হবে জুলাইয়ের মধ্যে।’
এই পাঁচ সিটি করপোরেশনের বর্তমান নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে। এর মধ্যে গাজীপুরের ৪ সেপ্টেম্বর, খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর, সিলেটের ৮ অক্টোবর ও বরিশালের ২৪ অক্টোবর। এ অবস্থায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ৯ এপ্রিল-৫ অক্টোবর, খুলনায় ৩০ মার্চ-২৫ সেপ্টেম্বর, বরিশালে ২৭ এপ্রিল-২৩ অক্টোবর, সিলেটে ১৩ মার্চ-৮ সেপ্টেম্বর এবং গাজীপুরে ৮ মার্চ-৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে। অর্থাৎ, ডিসেম্বরের ২০ তারিখের পর থেকে জানুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যেই এই নির্বাচন হবে। এই মুহূর্তে বড় পাঁচ সিটির নির্বাচন নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে সেটা কী পরিমাণে ব্যবহার করা হবে, তা নির্ভর করবে ইভিএম মেশিন সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ওপর। এ সময় বিএনপিসহ সব দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে কে এম নুরুল হুদা উপজেলার দামকুড়াহাট উচ্চবিদ্যালয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পাল, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান ও পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মীরদাহ্ মোসাম্মদ শাহানাজ পারভীন উপস্থিত ছিলেন। তিনি আজ বিকেলে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তিনি আগামী সিটি ও জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে কমিশনের এ অঞ্চলের কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।