আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে তারা জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক। তারা (বিএনপি) মুক্তিযুদ্ধের মুখোশ পরে নির্বাচনে আসে। আর ক্ষমতায় যাওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য যা যা করার দরকার তা করে।
ওবায়দুল কাদের আজ দুপুরে জেলা শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বর্তমানে শুধু দিশেহারা নয়, বেপরোয়াও। তারা গত নয় বছরে নয় মিনিটের জন্যও আন্দোলন করতে পারেনি। জনগণ তাদের নেতিবাচক রাজনীতির সাথে নেই। তাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্নীতির মামলায় আদালতে খালেদা জিয়া দন্ডিত হয়েছে। আর বিএনপি অভিযোগ করে সরকার তাকে জেলে পাঠিয়েছে। খালেদা জিয়ার মামলার রায় সরকার দেয়নি, আদালত দিয়েছে। তাহলে তারা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আদালতের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
তিনি বলেন, আত্মঘাতী ও নেতিবাচক রাজনীতি করে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। আগুন দিয়ে যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হতে পারে না। ক্ষমতায় এলে এদের হাতে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারে না। এটা মুক্তিযুদ্ধের দেশ। তাই বিএনপির হাতে দেশ নিরাপদ নয়।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট তারানা হালিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামছুর নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের।
সভায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।