সিএমএইচ থেকে সিলেটে যেতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান জাফর ইকবাল। সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমীন হক ছিলেন।
জাফর ইকবাল বলেন, প্রগতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে এ ধরনের হামলা কখনো বাধা হতে পারবে না। দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন এ ধরনের জঙ্গিশক্তি গড়ে উঠতে না পারে। কারও মানসিকতাও যেন এমনভাবে গড়ে না ওঠে।
হামলার ঘটনায় ক্ষোভ আছে কি না জানত চাইলে জাফর ইকবাল বলেন, কারও প্রতি তাঁর কোনো রাগ নেই। বরং তাদের (হামলাকারী) প্রতি একধরনের দুঃখ আছে।
জাফর ইকবাল বলেন, ‘এই দেশটা এত সুইট, এত কিউট, এখানে অনেক কিছু করার আছে। তারা (বিপথগামীরা) যেন সেই কাজ করে। তা না করে তারা যা করছে, তা নিয়ে তাদের ওপর আমার একধরনের দুঃখবোধ আছে।’
হামলার ঘটনার ভয় পাচ্ছেন কি না—প্রশ্ন করা হলে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি বোকাসোকা মানুষ, আমার ভয়টয় নেই। প্রধানমন্ত্রী, আশপাশের মানুষ, আমার ছাত্ররা, সহকর্মীরা, আত্মীয়-পরিজনেরা আছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো আছেই। এরপর আর অনিরাপদ বোধ করার কোনো কারণ দেখি না।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেখালেখির প্রসঙ্গ টানলে জাফর ইকবাল ডান হাত উঁচু করে দেখান। বলেন, বাঁ হাতে আঘাত পেয়েছেন। ডান হাত ঠিক আছে। তাই লিখতে পারছেন।
এখন সুস্থ আছেন জানিয়ে সাংবাদিকদের জাফর ইকবাল বলেন, ‘ভালো আছি। চিকিৎসকেরা বলেছেন, রোগী হিসেবে আমি ভালো। তাঁদের সব কথা শুনেছি।’
মাথায় থাকা ক্যাপ দেখিয়ে জাফর ইকবাল বলেন, তাঁর মাথায় চারটি আঘাত আছে।
তরুণ ভক্তদের উদ্দেশে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের দেশটা খুবই ভালো। খুবই সুন্দর। খুবই সুইট। তোমরা দেশকে ভালোবাসো। দেশও তোমাদের ভালোবাসবে।’
৩ মার্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল হামলার শিকার হন। অনুষ্ঠানে তাঁর পেছনে থাকা ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল নামের এক যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আঘাত করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য জাফর ইকবালকে ঢাকার সিএমএইচে আনা হয়। তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।