খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেছেন, ‘হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করা হবে।’ তবে কবে নাগাদ দুদক আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে যাবেন সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
অবশ্য রায় ঘোষণার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের জামিনে মুক্তি পেতে বাধা নেই। কেননা তাঁকে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের আদেশ দুদিনের জন্য স্থগিত চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি আদালত বিবেচনায় নেননি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ সোমবার চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বেলা আড়াইটার দিকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জামিনের এই আদেশ দেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, খালেদা জিয়া বয়স্ক নারী। তাঁর শারীরিক নানা জটিলতা আছে। এসব বিবেচনা করে তাঁকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হলো।
জামিনের এই আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাজার রায় হওয়ার পর জামিন চেয়ে আপিল করেন খালেদা জিয়া। জামিন আবেদনের শুনানির পর নিম্ন আদালতের নথি আসলে আদেশ দেবেন বলে জানান হাইকোর্ট। আজ দুপুরের ওই বেঞ্চে ৫ হাজার ৩২৮ পৃষ্ঠার নথি পৌঁছায়।
সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। চার আসামি হলেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন, তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
এক নজরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা:
দুদকের মামলা: ২০০৮ সালের ৩ জুলাই
অভিযোগপত্র: ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট
অভিযোগ গঠন: ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ
আসামির সংখ্যা: ছয়জন
সাক্ষ্যগ্রহণ: ৩২ জন সাক্ষীর
যুক্তিতর্ক শেষ: ২৫ জানুয়ারি
বিচারের সময়: ২৩৬ কার্যদিবস
যুক্তিতর্ক শুনানি: ১৬ কার্যদিবস
রায় ঘোষণা: ৮ ফেব্রুয়ারি
জামিনের জন্য আপিল: ২০ ফেব্রুয়ারি
জামিন আদেশ: ১২ মার্চ