খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টায় পুলিশ ইমনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। সে পেশায় রিকশাচালক। শিশু সোহাগের বাবা আরিফও রিকশাচালক।
মা তৈরি পোশাক কারখানার কর্মী।
পতেঙ্গা থানার এসআই সেলিম জানান, গতকাল রাত ১১টায় শিশু সোহাগের লাশ বার্মা কলোনীর পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাপসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত ইমন পুলিশকে জানিয়েছে, বড়ই খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে সে সোহাগকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে শিশুটিকে উপর্যুপরি বলৎকার করে। শিশুটি চিৎকার করলে সে মুখ চেপে ধরে এবং কেউ শুনে ফেলবে এ ভয়ে তার মাথায় ইটের আঘাত করে মেরে ফেলে রেখে সে চলে যায়।
সোহাগের বাবা আরিফুর রহমান জানান, অনেক খোঁজাখুঁজির পড়ে পরিত্যক্ত একটি ঘরে সোহাগের রক্তমাখা লাশ পাওয়া যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানায় গেলে পুলিশ সোহাগের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের তিন-চারটি টিম দুই ঘন্টার মধ্যে ইমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ইমন বলৎকারের পর সোহাগকে ইট দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় সোহাগের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।