বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ফজলুল হক মুসলিম (এফএইচ) হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন কাওসার মিয়া নামের একজন শিক্ষার্থী। কাওসার মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ও ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী। হল শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক অভি (মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ), দপ্তর সম্পাদক এনায়েত (পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ) সহ বেশ কয়েকজন তাকে মারধোর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এফএইচ হলে সিট সংকটের কারণে হলের বিভিন্ন দেয়ালে সিট চেয়ে বিভিন্ন বাক্য লিখেন গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় কাউসারকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গেস্টরুমে (ছাত্রলীগের আদালত) নিয়ে আসেন ছাত্রলীগ নেতারা। কিন্তু কাউসার ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতার তার কথা আমলে না নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে কাউসারের নাক দিয়ে রক্তক্ষরণও হয়। একই সাথে সে কয়েক দফায় বমি করে।
এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে হলে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হলে আনার পর পুনরায় বমি করলে তাকে আবারো হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সরেজমিন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে কাওসারকে ১০০ নাম্বার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেছে। তার শরীরে স্যালাইন চলছিলো। মারধরের কারণে কাওসার এতটাই দুর্বল হয়েছে যে, তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাসপাতালে অবস্থান করতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের অবস্থানের কারণে ও ফের মার খাওয়ার আশঙ্কায় ভয়ে মুখ খোলেনি কাওসার। কর্তব্যরত ডাক্তার জানায়, কাওসারকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন আছে কিনা তা জানার জন্য সিটিস্ক্যান করাতে হবে। কিন্তু তা কেন করা হয়নি বা কেন করানো হচ্ছে না তা বলতে পারবো না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এফএইচ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিক শিশিম মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাকে (কাওসার) মারধরের কোন ঘটনাই ঘটে নাই। এর কিছুক্ষণ পরে কাওসারকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যান শিশিম। এসময় তিনি বলেন, ‘তাকে (কাওসার) জোর করে কয়েকজন মিলে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।