খবরে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা ট্রাম্পকে কিম এর নিমন্ত্রণ পত্র হস্তান্তর করেন।
তারা জানান, কিম পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন। এমনকি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণেও রাজি উত্তর কোরিয়া। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে দুই পক্ষের মধ্যে চলমান হুমকি ও সহিংসতার পর এমন পদক্ষেপকে পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তবে তারা এই আলোচনার অর্জন কি হবে সে বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কেননা, পরিস্থিতি এরকম মোড় নেয়ার পেছনে বহু বছরের কূটনীতির অবদান রয়েছে। ট্রাম্প বিষয়টিকে ‘ব্যাপক উন্নতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে যতক্ষণ না দুই পক্ষ কোন সমঝোতায় পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণ উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবেনা বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, সাক্ষাৎ এর বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা চাং ইয়ুই-ইয়ং ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলেছি যে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় তিনি আমাদের কাছে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি করেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের সাক্ষাৎের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন ও জানিয়েছেন, চূড়ান্ত পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরন নিশ্চিত করতে মে মাসের মধ্যে কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করবেন। উল্লেখ্য, যদি এই সাক্ষাৎ সম্পন্ন হয়, তাহলে এটাই হবে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে প্রথম কোন সাক্ষাৎ। এর আগে কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার কোন নেতার মধ্যে এরকম সাক্ষাৎের ঘটনা ঘটেনি।