গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়া ২৭৮/১, আহসান উদ্দিন রোডের বাড়ীর মালিক মাদক, স্বর্ণ চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচারকারী মুন ভুইয়া (৪৫), তার বাসার যুবতী কাজের মেয়ে রিতা খানম (২০) কে সুকৌশলে বিভিন্ন লোভ-লালসা দিয়ে ধর্ষণ এবং বিদেশে পাচার অথবা হত্যা করে লাশ গুম করেছে। এই অভিযোগ এনে রিতা খানমের পিতা হাবিল ভুইয়া গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মুন ভুইয়াসহ ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১০২/১৮, তারিখ-০৬/০৩/২০১৮। আসামীরা হলো-১। মুন ভুইয়া (৪৫), পিতা হান্নান ভুইয়া, ২। তারেক ভুইয়া (৪৮), পিং-মতি ভুইয়া, ৩। জাবেদ ঢালী (৫০) পিং-মনো ঢালী, ৪। জুয়েল শিকদার (৪২), ৫। সোহেল শিকদার (৪০) উভয় পিং-মজিবর শিকদার, ৬। মজিবর শিকদার পিং-মৃত: তোফাজ্জেল শিকদার, ৭। খুকু মনি (৫২), জজে-মজিবর শিকদার, ৮। শিলা বেগম (৩২) জং- আজিজুর রহমান সর্বসাং-চন্দ্রদিঘলিয়া। মামলার বিবরণে জানা গেছে মামলার প্রধান আসামী মুন ভুইয়া গ্রামের বাড়ী সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া এবং পাচারকৃত যুবতীর বাড়ী চন্দ্রদিঘলিয়া।
গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় কাজের জন্য বিগত ২০১৬ সালে রিতাকে ব্যাংক পাড়াস্থ বাসায় আনা হয়। বিগত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে রিতাকে ১০/১২ জন নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। ঔখানে মুন ভুইয়া বাসায় আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং পতিতাবৃত্তিতে রাজিতে করাতে না পেরে বিদেশে পাচার অথবা হত্যা করে লাশ গুম করেছে। প্রকাশ থাকে যে, মামলার প্রধান আসামী মুন ভুইয়া একজন গরীব পরিবারের সন্তান। হঠাৎ মাদক, স্বর্ণচোরাচালান ও নারী ও শিশু পাচার করে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে বসেছে। উল্লেখ্য, মেয়ের বাবা হাবিল ভুইয়া সামান্য রিক্সা চালাক দিনমজুর। বার বার মেয়ে বাবা রিতাকে ফেরত চাইলে মুন ভুইয়া বলে রিতার ভাই উজ্জ্বলকে ভাল চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুরাতে থাকে। রিতার বাবা হাবিল ভুইয়া উপায়ন্তর না পেয়ে গত ৬ই মার্চ গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
আরো উল্লেখ থাকে যে, রিতার বাবা রিতাকে নিতে আসলে অভিযুক্ত মুন ভুইয়া তার ছেলে উজ্জ্বলকে ভাল চাকরি দিয়ে দেওয়া হবে এবং রিতাকেও ফেরত দেওয়া এই তালবাহানা করে প্রায় দুই বছর ধরে।