স্যার, সরকারি খরচে জেলখানার পাশে আমার কবর দিয়েন

Slider বিচিত্র

813c527fe2fb0474aefa37d1b98f8971-jessor

যশোর: ‘স্যার, আমার এক মেয়ে ছাড়া তেমন কেউ নেই। মৃত্যুর পরে কেউ লাশ নিতে আসবে না। সরকারি খরচে জেলখানার পাশে আমার কবর দিয়েন।’ কথাগুলো একজন কারাবন্দীর।
নাম নুরজাহান নুরি (৭০)। মৃত্যুর আগে তিনি কারাধ্যক্ষকে কথাগুলো বলে যান।

যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকালে মারা যান নুরজাহান। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বিকেলে তাঁকে কারাগারের পাশে অবস্থিত ঘোপ সেন্ট্রাল সড়কের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নুরজাহানের জন্মস্থান নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি গ্রামে।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, নুরজাহান বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানার নারী ও শিশু পাচারের একটি মামলার আসামি ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ওই মামলাটি হয়। এরপর ২০১২ সালে বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত তাঁকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেন। নুরজাহান মামলার শুরু থেকেই কারাগারে ছিলেন।

কারাগার সূত্র জানায়, নুরজাহান শ্বাসকষ্ট, হৃদ্‌যন্ত্রসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কারাধ্যক্ষ আবু তালেব বলেন, ‘মৃত্যুর আগে নুরি আমাকে বলে গেছে, “স্যার, এক মেয়ে ছাড়া আমার তেমন কেউ নেই। কেউ আমার লাশ নিতে আসবে না। আপনি সরকারি খরচে জেলখানার পাশে আমারে কবর দিয়েন।”’ আবু তালেব আরও বলেন, মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ে-জামাইকে খবর পাঠানো হয়। তাঁরা এসে লাশ গ্রহণ করে ঘোপ কবরস্থানে দাফন করেছেন। দাফনের সব খরচ সরকারিভাবে বহন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *