সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের জনসভা আজ। বেলা ১১টার পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশে যেতে দেখা যায় অনেককে। এ জন্য রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে বাসের সংখ্যাও কম। এতে বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষ। কিছু কিছু এলাকায় বিভিন্ন পরিবহনের বাস সমাবেশে নিয়ে যাওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ফার্মগেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যানজটে আটকে আছে গাড়ি। ছোট ছোট ট্রাকে করে মিছিল নিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় অনেক যানবাহনকে ধীরে ধীরে চলতে দেখা গেছে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তুহিন শুভ্র বলেন, তিনি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হাইকোর্ট এলাকায় যাওয়ার জন্য ফার্মগেট থেকে বাসে ওঠেন। আধা ঘণ্টায় সামান্য এগোতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘যে অবস্থা দেখছি, মনে হচ্ছে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হবে।’
মোহাম্মদপুরে বাস স্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে বাস তুলনামূলক কিছুটা কম। মোহাম্মদপুর-রামপুরা গন্তব্যের তরঙ্গ প্লাস বাসের কয়েকজন শ্রমিক জানান, তাঁদের পাঁচটি বাস সমাবেশের জন্য দিতে হয়েছে। তা ছাড়া আজ তাঁদের বাস রাস্তায় আগের সময়ের থেকে কম নেমেছে। রাস্তা থেকে বাস নিয়ে সমাবেশে জোর করে নেওয়া হচ্ছে, তাই বাস কম নামানো হয়েছে।
একই কথা বললেন মেশকাত পরিবহনের শ্রমিকেরা। এই বাস পল্টন হয়ে গুলিস্থান-মতিঝিল গন্তব্যে চলাচল করে। একজন শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের বাসের সংখ্যা আজ কম। পল্টনের রাস্তা বন্ধ, একটু পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই দুইটার পর আর আমাদের কোনো বাস ছাড়া হবে না। শুনেছি, রাস্তায় যে বাস পাচ্ছে, তা সমাবেশের জন্য নিয়ে যাচ্ছে। তাই বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
আজ মোহাম্মদপুর থেকে এমটিসিএল, এসটিসিএল কোন বাস ছাড়েনি। এ জন্য মোহাম্মদপুর এলাকায় রাস্তায় অনেক মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও পান্থপথ মোড় এলাকায় যানজট। ধীরে ধীরে যানজট বাড়তে শুরু করেছে। এসব এলাকা থেকে দলে দলে মানুষকে সমাবেশ এলাকায় যেতে দেখা গেছে।