শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন পরিষদে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টে (এলজিএসপি) অর্থ্যায়নে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিশেষ ভাবে তৈরী ব্যাটারিচালিত এ্যাম্বুলেন্স বিতরণ করে জেলা প্রশাসক।
এ্যাম্বুলেন্স গুলো গ্রাম পর্যায়ের দরিদ্র-অসহায় মানুষ ও প্রসূতি মায়েদের দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ভূমিকা পালন করার কথা যেখানে তার উলটো হচ্ছে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদে। রোগীদের কাজে ব্যবহার না করে ইউনিয়ন পরিষদের নিজেস্ব কাজে ব্যবহার হচ্ছে এ্যাম্বুলেন্সটি।
দেখা যায়, মঙ্গলবার গ্রাম পুলিশদের উপজেলা পরিষদে প্রতিসপ্তাহের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা ও থানায় ট্রেনিং করতে আসতে হয় গ্রাম পুলিশদের। আর তাদের যাতায়েতের জন্য এখন যানবাহনের তালিকায় গ্রামীণ এ্যাম্বুলেন্স। এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদে আসে আর ফিরে যায় দুপুর ২ টার দিকে। এতোক্ষণ সময় এ্যাম্বুলেন্স ইউনিয়ন পরিষদে না থাকায় রোগীদের ভোগান্তি চরমে বলে অভিযোগ করে ইউপি সদস্যরা।
থানায় আসা গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মো.আলাল উদ্দিন জানান, কোন যানবাহন না পেয়ে চেয়াম্যানের অনুমতি নিয়েই গ্রামীণ এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তারা এসেছেন।
নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ্যাম্বুলেন্সটি ইউনিয়ন পরিষদে আসলেও তা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। তার সাথে গ্রাম পুলিশদের সদস্য বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকে। তিনি আরো জানান, তাঁর ওয়ার্ডে কয়েকবার এ্যাম্বুলেন্স রোগীদের জন্য চেয়েও তা পাওয়া যায়নি।
এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে গাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.নূরুল ইসলাম জানান, এ্যাম্বুলেন্স সচল রাখতে গ্রাম পুলিশরা ব্যবহার করে থাকে। তবে শ্রীপুর গ্রাম পুলিশরা হাজিরা দিতে যায় বিষয়টি যেন ভবিৎষতে আর না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, গ্রামীণ এ্যাম্বুলেন্স গুলো গ্রামের রোগীদের জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ যদি তা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।