চলতি বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পবিত্র হজব্রত পালনে ইচ্ছুকদের জন্য হজ প্যাকেজ-২০১৮ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে হলে সর্বনিম্ন তিন লাখ ৩২ হাজার ৮৬৮ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে বিমান ভাড়া বাবদ এক লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই প্যাকেজে কোরবানির পশুর মূল্য ধরা হয়নি।
রাজধানীর ভিক্টরি হোটেলে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম এই প্যাকেজ ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে হাব সভাপতি আব্দুস সোবহান ভুইয়াসহ ইসি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ মার্চ সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরির প্যাকেজে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরির প্যাকেজে তিন লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনার এই প্যাকেজ এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
গতকাল বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ ঘোষণার সময় হাব মহাসচিব বলেন, হজে যেতে ইচ্ছুকদের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে প্যাকেজের সব টাকা পরিশোধ করতে হবে। ৬ মার্চ মঙ্গলবার শুরু হবে নিবন্ধন। চলতি বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট এক লাখ ২০ হাজার যাত্রী হজে যাবেন। আর সরকারি পর্যায়ে মোট সাত হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীসহ চলতি বছর মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজব্রত পালনে সৌদি আরবে যেতে পারবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হাব মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্ধিত ভাড়া মানি না। গত বছরই ভাড়া বেশি নেওয়া হয়েছিল। এবার অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। বিমান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেননি।’ তিনি সরকারের কাছে বিমানের থার্ড ক্যারিয়ার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।
হাবের বেসরকারি প্যাকেজে বিমান ভাড়া এক লাখ ২৮ হাজার ৬৫০ টাকা, মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া ৯৭ হাজার ৩৯০ টাকা, জমজমের পানি ২৫৮ টাকা, মক্কা-মিনা-আরাফা-মুযদালিফায় বাসে যাতায়াত বাবদ ২৫ হাজার ৫৫৬ টাকা, আরাফাতের ময়দানে তাঁবু টাঙানো, বালিশ, কম্বল, বিছানার চাদর, নাশতা, খাবার ও ওয়াটার কুলার স্থাপন বাবদ ৩৫ হাজার ২০১ টাকা, খাওয়া খরচ ৩০ হাজার টাকা, প্রাক-নিবন্ধন ফি দুই হাজার টাকাসহ মোট তিন লাখ ৩২ হাজার ৮৬৮ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
হাব মহাসচিব বলেন, ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজের বাইরে হজযাত্রীদের নিজস্ব অর্থায়নে (৫০০ রিয়াল) পশু কোরবানি করতে হবে। প্রতিটি হজ এজেন্সিকে কমপক্ষে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। তবে কেউ সর্বনিম্ন প্যাকেজের চেয়ে কম টাকা নিতে পারবে না।