একটি শিম্পাঞ্জির মুক্তির দাবিতে করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছেন, একজন মানুষের যেসব অধিকার পাওয়ার কথা, তা শিম্পাঞ্জির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের শিম্পাঞ্জি টমিকে মুক্তি দিতে তার মালিক বাধ্য নন বলে রায় দিয়েছেন সেই আদালত।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের একটি আপিল আদালত আলোচিত এ মামলার রায় দেয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
‘দ্যা নন হিউম্যান রাইটস প্রজেক্ট’ (এনএইচআরপি) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন টমির মুক্তির দাবিতে এই মামলা করে। এতে বলা হয়, মানুষের সঙ্গে আচরণগত অনেক মিল থাকায় টমির মতো শিম্পাঞ্জিদেরও স্বাধীন জীবনযাপনের মতো কিছু মৌলিক অধিকার থাকা উচিৎ।
রায়ে আদালত বলেছে, টমি যেহেতু আইনগতভাবে বৈধ কোনো দায়িত্ব পালন করে না, সেহেতু তাকে আইনগতভাবে একজন ‘ব্যক্তি’ হিসাবে গণ্য করার সুযোগ নেই।
এনএইচআরপি এই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করবে বলে জানিয়েছে।
রায়ে বিচারক বলেন, এ যাবৎকালে যে আইনি তত্ত্ব তৈরি হয়েছে, সে অনুযায়ী তাকেই একজন ‘ব্যক্তি’ গণ্য করা যাবে, যে দায়িত্ব পালন ও অধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনিভাবে যোগ্য।
“বলাই বাহুল্য যে, শিম্পাঞ্জি মানুষের মতো কোনো আইনসিদ্ধ দায়িত্ব পালনে সক্ষম নয়, তার কোনো সামাজিক দায়দায়িত্ব নেই এবং নিজের কাজের জন্য তাকে আইনের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না।”
আর অন্য কোনো প্রাণীকে কখনো মানুষের সমান মর্যাদা দেওয়ার নজিরও বিশ্বে নেই বলে রায়ে জানায় আদালত।
এনএইচআরপি সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানালেও টমির মালিক প্যাট্রিক লিভারি এই রায়ে খুশি।
এক সময় টমি সার্কাসের দর্শকদের আনন্দ দিত। দশ বছর আগে লিভারি তার দায়িত্ব নেন।