জাতিগত নিধনে জড়িতদের জবাবদিহিতায় আনতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র

Slider বিচিত্র

298605_121

 

 

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপ-সহকারী ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিসা কার্টিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার জাতিগত নিধনের সাথে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং রোহিঙ্গাদের ওপর অধিকতর নৃশংসতা প্রতিরোধে কাজ করবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রাখাইনে চালানো নৃশংসতাকে জাতিগত নিধন হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কৃতজ্ঞ। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশের ভূমিকাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়ে যাবে। এ নাজুক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়া এবং তাদের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

আজ শনিবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে ট্রানজিট ক্যাম্পে এসব কথা বলেন কার্টিস।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কার্টিস তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে আসার প্রথম দিনই গত শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার গেছেন। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সাথে বৈঠক করবেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপ-সহকারী বলেন, আমরা চাই রোহিঙ্গারা জানুক তাদের কণ্ঠস্বর রয়েছে। বিশ্ব তাদের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্ভব সবকিছু করবে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমার সরকারের সাথে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে এখানে এলাম যখন রোহিঙ্গারা সীমান্তের জিরো লাইনে অবস্থান করছে আর মিয়ানমার সৈন্যরা তাদের আশেপাশেই অবস্থান করছে। উদ্বাস্তু পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ, স্বেচ্ছা ও মর্যাদার সাথে প্রত্যাবাসনের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মিয়ানমারের সাথেও কাজ করছি।

তিনি বলেন, আনান কমিশনের প্রতিবেদনে দেয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু চি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ লক্ষ্য অর্জনে বেসামরিক সরকারকে সহায়তা দেয়ার জন্য মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন ও নিজ ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার কি করছে – তা আমাদের প্রশ্ন। রোহিঙ্গাদের যাতে নিজ ভূমি ছেড়ে আবারো পালিয়ে আসতে না হয় সে জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *