প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে বিশ্বসভায় চলতে আমরা উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা জানেন, পদ্মাসেতু থেকে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট হয়ে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলসেবা চালুর উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি আমরা।
আজ শনিবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কেউ গৃহহীন থাকবে না। কেউ কুড়ে ঘরেও থাকবে না। নিদেন পক্ষে আমরা একটি টিনের ঘর হলেও করে দেব। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প করে দিয়েছি। এর মধ্য দিয়ে নিজের ব্যবসা নিজে করার সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির সময় খুলনা নগরী ছিল সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য। প্রতিদিন মানুষ খুন হতো, মায়ের কোল খালি হতো। আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গি দমন করেছি। খুলনা এখন শান্তির নগরী। খুলনায় সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে সে জন্য সবার সহযোগিতা চাইছি।
তিনি বলেন, আমরা ভারত থেকে ৫০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। পর্যায়ক্রমে এ আমদানির পরিমাণ একহাজার মেগাওয়াট হবে। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এ বৈশ্বিক গ্রামে এককভাবে উন্নতি করা প্রায়ই দুঃসাধ্য। অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করতে হলে আন্তঃমহাদেশীয়, আন্তঃদেশীয় এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও সহযোগীতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, মার্চ মাস আমাদের ঐতিহাসিক মাস। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের দিন। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপর আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। আমরা বিজয়ী হই।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।