কূটনৈতিক সূত্রমতে, বাংলাদেশ সফরে লিসা কার্টিস-এর আলোচনায় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। এই অঞ্চলের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বর্তমান সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলবেন লিসা।
এতে রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, সন্ত্রাসবাদ, সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো উঠবে। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাইরেও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তায় উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী নিয়েও আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল বলছে, আগামী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরবেন লিসা।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে লিসা কার্টিস একমাত্র পররাষ্ট্র নীতি বিশ্লেষক, বাংলাদেশ নিয়ে যার পেশাগত গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে। লিসা কার্টিস আমেরিকার কনজারভেটিভ থিংক ট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এশিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে দীর্ঘ ১৬ বছর দক্ষিণ এশিয়া গবেষণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করেছেন। উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের বর্তমান পদে যোগদানের আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি গবেষকদের পাবলিক পলিসি থিঙ্ক ট্যাংক ‘আর্চার ব্লাড সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি’ কর্তৃক কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক সেমিনারে মূলবক্তা হিসেবে কথা বলেন লিসা। এটি ছিল লিসার সর্বশেষ বেসরকারি প্রোগ্রাম। ওই সেমিনারে লিসা বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গণতন্ত্রের অভাবে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।’