রাতুল মন্ডল শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধি:
সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো আফ্রিকান তৃণভোজী প্রাণী কমন ইল্যান্ড বাচ্চা প্রসব করেছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কোর সাফারিতে গত সোমবার সকালে বাচ্চাটির জন্ম হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে বুধবার দুপুরে এ খবরটি প্রকাশ করা হয়। নবজাতক ও মা উভয়ই ভালো আছে বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্ক সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে কমন ইল্যান্ড একটি মাদী বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে মা নির্দিষ্ট এলাকায় বাচ্চাকে পরিচর্যা করছে। বাচ্চাটি জন্মের পর থেকেই হাঁটতে পারছে। মায়ের সাথে ঘুরে ঘুরে সে মাঝে মাঝে দুধ পান করে। বাচ্চার নিরাপত্তার জন্য মা কমন ইল্যান্ড তাকে নিয়ে ঝুপের আড়ালে অবস্থান করে। মাঝে মাঝে ঝুপের বাইরে বের হয়।
সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক(ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার) সরোয়ার হোসেন খান জানান, কমন ইল্যান্ড এন্টিলুপ প্রজাতির আফ্রিকান প্রাণী। আফ্রিকা মহাদেশের অনেক স্থানে এদের দেখা যায়। তিনি আরও জানান, স্ত্রী কমন ইল্যান্ড প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় ৩০০-৬০০কেজি পর্যন্ত ওজন হতে পারে। পুরুষের ওজন ৪০০-থেকে ৯০০কেজি। এদের দেহের দৈর্ঘ্য স্ত্রীর ক্ষেত্রে ৮০-১১০ইঞ্চি ও পুরুষের ৯৪-১৩৬ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। এরা মূলত তৃণভোজী। সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫সালের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ কমন ইল্যান্ড আনা হয়। মঙ্গলবারে জন্ম নেওয়া বাচ্চাসহ সাফারি পার্কে মোট কমন ইল্যান্ড এর সংখ্যা হলো ৩টি। নবজাতকের নিরাপত্তার জন্য মা ও বাচ্চাকে দর্শনার্থীদের থেকে আপাতত দূরে রাখা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, ভিনদেশের প্রাণী কমন ইল্যান্ড পার্কে প্রথম বারের মতো বাচ্চা প্রসব করেছে। এগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাণী হলেও আমাদের পার্কে প্রণীগুলো অনুকূল পরিবেশ পাওয়ায় বাচ্চার জন্ম হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই দর্শনার্থীরা নতুন জন্ম নেওয়া কমন ইল্যান্ড শাবক দেখতে পারবেন।