নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বহির্বিশ্বে বাংলাদেশবিরোধী অপ্রপ্রচার ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিবাচক প্রচারের জন্য প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ফলে বাংলাদেশবিরোধী অপ্রপ্রচার রোধ করে সঠিক তথ্য বিশ্ববাসীকে জানানো সম্ভব হবে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, বর্তমানে ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, লন্ডন, নয়াদিল্লী, কলকাতা, পাকিস্তান, রিয়াদ এবং টোকিওস্থ বাংলাদেশ মিশনে প্রেস উইং চালু করা হয়েছে। এছাড়া আরো ১৫টি মিশনে প্রেস উইং খোলার লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি (কুয়ালালামপুর, দুবাই, ব্রাসেলস) নতুন প্রেস উইং খোলার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মতি প্রদান করেছে।
সংরক্ষিত আসনের সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু জানান, জঙ্গি তৎপরতাকে নতুন প্রজন্ম কর্তৃক ঘৃণা প্রদর্শন ও জঙ্গিবাদিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার মানসিকতা তৈরিতে তথ্য মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গি তৎপরতা এবং মানুষ হত্যার মত মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তথ্য মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করে তাদের মুখোশ উন্মোচনসহ প্রকৃত ঘটনা দেশবাসীকে অবগত করছে। ফলশ্রুতিতে সহিংস ও অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নতুন প্রজন্ম কর্তৃক জঙ্গি তৎপরতার প্রতি আজীবন ঘৃণা প্রদর্শন ও জঙ্গিবাদীতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত প্রমাণ্যচিত্র/ তথ্যচিত্র প্রদর্শন/ অনুষ্ঠান প্রচার কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেতারের মাধ্যমে চলমান রয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী অসম্প্রদায়িক দেশ। জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুব সমাজ ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যেন জড়িত হতে না পারে সে বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, তথ্য অধিকার আইনের সহায়ক হিসেবে কাজ করে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে এ বিষয়ে ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের দর্শক জনপ্রিয়তা হারানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, বিটিভির দর্শক জনপ্রিয়তা কম তা সত্য নয়। ২০১৭ সালের মে মাসে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ২ হাজার ৩৭২ জন দর্শকের কাছে প্রশ্নমালা প্রেরণ করে জরিপ করা হয়। উক্ত জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী শতকর ৮০ ভাগ দর্শক বিটিভি দেখেন। বেসরকারি যে কোনো টিভি চ্যানেলের দর্শক সংখ্যার তুলনায় বিটিভির দর্শক বেশি। তাই বিটিভির দর্শক কমে গেছে তা ভাবার কোনো কারণ নেই।