স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে অচিরেই সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য রেকর্ড ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত আরো দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী আরো জানান, পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বছরে একবার কক্সবাজারে আবহাওয়া পরিবর্তন/ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার হার বৃদ্ধি করে মাসিক ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মাসিক ভাতা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা যেসব সুবিধা পাচ্ছেন তা হলো- আবাসন সুবিধা, রেশন সুবিধা, শিক্ষা ভাতা, কন্যাদের জন্য বিবাহভাতা (এককালীন ১৯ হাজার ২০০ টাকা), উৎসব ভাতা, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে প্রীতিভোজ, ২০ শতাংশ ও তদুর্ধ্ব পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে-বিদেশে বিনাখরচে চিকিৎসা সেবা, মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে গার্ড অব অনাসহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন/সৎকার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কৃত্রিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোগ, সিটি করপোরেশন এলাকায় এক হাজার ৫শ’ বর্গফুটের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির বিল মওকুফ, যুদ্ধাহত পরিবারের দুই বার্নারের একটি গ্যাসের চুলার বিল মওকুফ, হুইল চেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মোবাইল বিল প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। এই পরিচয়পত্র দিয়ে রেল, বিমান, বাসে বিনা ভাড়ায় যাতায়াতসহ বিভিন্ন সুযোগ পাচ্ছেন।
সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাসিমা ফেরদৌসীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশের জন্য সকল উপজেলায় ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা আপাতত নেই। তবে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে একটি ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে স্থাপত্য অধিপ্ততর কর্তৃক স্থাপত্য নকশার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শীঘ্রই নকশাটি চূড়ান্ত করা হবে। নকশা চূড়ান্ত করার পর ডিপিপি তৈরি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হবে।