আহত হন প্রায় দু’ডজন মানুষ। ওই লাশিও শহরে বেশ কয়েকটি জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এর পরেই সিতওয়েতে বিস্ফোরণ ঘটলো। সিতওয়ে হলো সহিংসতা-কবলিত রাখাইনের রাজধানী। এই রাজ্যে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) চালানো হামলার জবাবে আগস্টের শেষের দিক থেকে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অকথ্য নৃশংসতা শুরু করে। তারা হত্যা, গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে। বাধ্য হয়ে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। শনিবার বিস্ফোরিত বোমা তিনটির মধ্যে প্রথমটি স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটার দিকে বিস্ফোরিত হয়। রাজ্য সরকারের একজন তুখোড় সচিব তিন মুয়াং শয়েদর বাড়ির পিছনে এ বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনে তিনিই সর্বোচ্চ পদধারী কর্মকর্তাদের অন্যতম। অন্য দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয় হাইকোর্ট এলাকা ও একটি ভূমি রেকর্ড অফিসের কাছে। স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র কর্নেল মিও থু সোয়ে বলেছেন, এ ঘটনায় সন্দেহজনক আছে। তবে এ নিয়ে এখনই কথা বলা যাবে না। বোমা তৈরির প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করে সন্দেহজনকদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তিনি বলেছেন, আরো তিনটি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে ওই শহর থেকে।