কালো পতাকায় বাধা, আলালসহ আটক ২০

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

6d1211c821c562121597b44d7a90ba0a-5a91088d7846d

ঢাকা: বিএনপির আজকের কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি পুলিশের প্রবল বাধার মুখে পড়েছে। দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হলে পুলিশ তা ভন্ডুল করে দেয়। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।

পুলিশ বলেছে, অনুমোদন ছাড়া রাস্তায় দাঁড়ানোর জন্য সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা হয়। বিএনপির কয়েক নেতা-কর্মীকে আটক করা হলেও সংখ্যাটা পুলিশ জানাতে পারেনি।

বিএনপির কর্মসূচি ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে হুড়োহুড়িতে আহত হন বিএনপির নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী। নয়াপল্টন, ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২৯১৮। ছবি: প্রথম আলো

আজ বেলা ১১টা দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি ছিল। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে পতাকাও প্রদর্শন শুরু করেন অনেকে। এ সময় হঠাৎ করেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ চড়াও হয়। সেখান থেকে ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে পুলিশ। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর জলকামান থেকে পানি ছিটানো হয়। তাদের ধাওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয়ের ভেতর ঢুকে পড়েন। পুরো এলাকায় হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এরপর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ওই ফটকের কাছ থেকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের এটা কোন ধরনের আচরণ? সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ একটা কর্মসূচির মধ্যে এভাবে জলকামান দিয়ে পানি ছিটানো, লাঠিপেটা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশের আচরণ হতে পারে না। রিজভী বলেন, ‘দলের মহাসচিবকেও তারা পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

বিএনপির সূত্র জানায়, আজকের কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের ধাওয়ার সময় হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে আহত হন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ের পুত্রবধূ বিএনপি নেতা নিপুণ রায় চৌধুরী।

বেলা সোয়া ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বের হয়ে যাওয়ার সময় যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আটক করা হয়। সবমিলিয়ে অন্তত ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান আটকের কথা স্বীকার করলেও এর সংখ্যা বলতে পারেননি। এ ঘটনার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজকে তাদের কর্মসূচিতে রাস্তায় দাঁড়ানোর কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অনুমোদন ছাড়া রাস্তায় দাঁড়ানোর জন্যই তাদের পানি ছিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *