অফিসে পরিপাটি থাকার ব্যাপারটা আজকাল অনেকেই গুরুত্বের সাথে নেন না। অনেক অফিসেই ক্যাজুয়াল পোশাক পরা যায় এখন, ফলে পরিপাটি থাকার বিষয়টি নিয়ে একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েই যায়। তবে মনে রাখবেন, ক্যাজুয়াল পোশাক পরার অর্থ কিন্তু এই নয় যে পরিপাটি থাকা যাবে না। আবার পরিপাটি থাকার অর্থ এটা নয় যে একদম সেজেগুজে পুতুলের মত হতে হবে। অফিসে পরিপাটি থাকার অর্থ ঠিক যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুর মাঝে সামঞ্জস্য রক্ষা করা। কেননা এই পরিপাটি থাকাটা আপনার ক্যারিয়ারকে সামনে নিতে অত্যন্ত জরুরী। কীভাবে সামান্য চেষ্টাতেই অফিসে পরিপাটি থাকা সম্ভব?
১) পরিচ্ছন্নতাই পরিপাটি থাকার প্রথম কৌশল। পরিষ্কার পোশাক পরুন। নিয়মিত শেভ করুন ও চুল আঁচড়ান। আপনাকে দেখতে পরিপাটি লাগবেই।
২) মুখ ভরা দাড়ি বা আগছালো চুলে অফিসে যাওয়ার কথা মনেও আনবেন না। মেয়ারা চুলটা বেঁধেই অফিসে আসুন। আহামরি চুলের স্টাইলও এড়িয়ে চলবেন। চুল সামাল দিতে সমস্যা হলে ছোট করে কেটে রাখতে পারেন।
৩) এমন কোন পোশাক পরবেন না, যেটা সামাল দিতে আপনার অসুবিধা হয়। যেমন ধরুন, মেয়েরা সালোয়ার কামিজ পরলে এমন ওড়না বেছে নিন যেটা সামাল দিতে সোজা। আবার শাড়ি পরলে এমন শাড়ি পরবেন না যেটার কারণে কাজে অসুবিধা হয়।
৪) হাতের নখ কেটে রাখুন নিয়মিত। মেয়েরা হাতে খুব বেশি কোন উজ্জ্বল রঙের নেইল পলিশ ব্যবহার না করাই ভালো। চুলেও কড়া রঙ ব্যবহার কড়া থেকে বিরত থাকুন।
৫) লাঞ্চের সময় নিশ্চয়ই একবার ওয়াশ রুমে যাওয়া হয়? তখন অবশ্যই চুলটা আঁচড়ে নিন। মেয়েরা ঠোঁটে একটু লিপগ্লসও বুলিয়ে নিতে পারেন।
৬)একজন মানুষের রুচি ও ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক তাঁর জুতো। সুন্দর ও রুচিশীল জুতো পরুন, এবং অবশ্যই পরিষ্কার রাখুন। জুতো সুন্দর হলে আপনাকে এমনিতেই পরিপাটি দেখাবে।
৭) পোশাক যেমনই হোক না কেন সেটা ইস্ত্রি করে পরতে চেষ্টা করুন। মার্জিত দেখাবে।
৮) রুচিশীল ব্যাগ ব্যবহার করুন। নিজের লাঞ্চ বক্সটিও বেছে নিন মার্জিত ধরণের। এইসব ছোট ব্যাপারও কিন্তু অফিসে আপনার কর্পোরেট ব্যক্তিত্বের অংশ।
একটা জিনিস মনে রাখবেন, আপনি যত ভালো কাজই করুন না কেন, অফিসে যদি এলোমেলো আর আগছালো থাকেন তবে আপনার সেই কাজটিও ম্লান হয়ে যাবে। অন্যদিকে সুন্দর ভাবে পরিপাটি হয়ে চললে খুব সহজেই অফিসে নিজের একটি স্থান তৈরি করে নেয়া যায় এবং বসের নজরেও পড়া যায় সহজে।