বাসসের খবরে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রী আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এফডিসির এটিএন বাংলার হলরুমে অনুষ্ঠিত ‘বিতর্ক বিকাশ-গ্র্যান্ড ফাইনাল, যুক্তির আলোয় খুঁজি মানুষের মুক্তি’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওই আভাস দেন।
ইতিমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে আগামী বছর নতুন পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই পদ্ধতিতে কয়েক শ প্রশ্ন নিয়ে একটি ‘প্রশ্নব্যাংক’ করা হবে। এরপর সেখান থেকে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আরও কঠোর হব। এতে প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন না হলেও আগামী বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করব। তবে সবকিছু হবে শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের এখন যে পরিস্থিতি, তা রোধ করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। কারণ, প্রশ্নফাঁস রোধে শুধু বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেই হবে না, বরং পরীক্ষাপদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। আর পরীক্ষাপদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে চাইলে অনেক অভিভাবক আছেন, যাঁরা এ পরিবর্তনকে সহজে মেনে নিতে চান না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে আমরা যখন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রশ্নপত্রে এমসিকিউতে ১০ নম্বর কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিই, তখন অনেক অভিভাবক এতে মনঃক্ষুণ্নœহন। কারণ হিসেবে তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন, এতে তাঁদের সন্তানরা ‘জিপিএ-৫’ থেকে বঞ্চিত হতে পারে।’ তিনি অভিভাবকদের প্রতি তাঁদের সন্তানদের কাছ থেকে ভালো ফলের চেয়ে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ভালো মানুষ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবারের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বিপরীতে মামলা হয়েছে ৫২টি।
শিক্ষার্থীদের চিন্তা-দক্ষতা ও সৃজনশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি, এটিএন বাংলা ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ৮৮০টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ বছর নবম জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১৭ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।