ওই আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা পেয়ে কারাগারে আছেন খালেদা। ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। খালেদাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য, তাঁর বিরুদ্ধে হাজিরা পরোয়ানা জারি করতে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত আদালত কোনো আদেশ দেননি। আদালত সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ওই দিন আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এই মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদাসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচজনের ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ মামলায় দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন।