রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য চলছে। যে কারণে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরবাসী। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির বৈঠকে সকল বৈষম্য দূর করে সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী, সাবের হোসেন চৌধুরী, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান ও রহিমা আকতার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে (ডিসিসি) দুই ভাগ করায় রাজধানীর উন্নয়নে বৈষম্য দেখা দিয়েছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের তুলনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা কম নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন। বাজেটের অভাবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। এনিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। এসময় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বরাদ্দের অভাবে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া যাচ্ছে না। আর রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় বরাদ্দও বাড়ানো যাচ্ছে না। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কমিটির সদস্যরা বলেন, রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় রাজধানীর উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে এটা যুক্তিযুক্ত নয়। প্রয়োজনে থোক বরাদ্দ দিয়ে রাজধানীর সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে বৈঠকে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া আগামী ছয় মাসের মধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ কম্পিউটারাইজড করার তাগিদ দেওয়া হয়। আর ঢাকা মহানগরীর বিলবোর্ডগুলো থেকে আয়ের তথ্য কমিটিতে উত্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া পানির অপচয় রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ক্যাম্পেইনিং ও গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।