যুক্তরাষ্ট্রের ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের’ ২০০৭ সালের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালে এলোপাতাড়ি গুলিতে (Mass Shooting) ৩৪৬ জন নিহত হন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ৪৩২, এবং ২০১৫ তে এটি ছিল ৩৬৯।দেশটির ৩২ কোটি মানুষের হাতে ২৯ কোটি অস্ত্র রয়েছে। বলতে পারেন দেশটিতে অস্ত্রের ব্যবহার যেন ডাল-ভাতের মতো। কিন্তু সম্প্রতি স্কুল কিংবা লোকালয়ে একের পর এক গুলি বর্ষণে হতাহতের ঘটনায় এবার নড়েচড়ে নড়েচড়ে বসেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাই কারো কাছে অস্ত্র বিক্রি করার আগে তার অতীত যাচাইয়ের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ট্রাম্প রিপাবলিকান সিনেটর জন কর্নিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। কর্নিন এর আগে ক্ষুদ্র অস্ত্রের বিক্রি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিল উত্থাপন করেছিলেন। ওই বিলটির বিষয়বস্তু নিয়ে তার সঙ্গে আলাপ করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বরাবরই নাগরিকদের অস্ত্র হাতে রাখার পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু ফ্লোরিডার স্কুলে এক বন্দুকধারীর বৈধ অস্ত্রের গুলিতে ১৭ জন নিহতের ঘটনা ঘটে। পর দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়। এর প্রেক্ষিতেই শেষ পর্যন্ত এ ইস্যুতে সুর নরম করলেন ট্রাম্প।
হোয়াট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স সোমবার বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অতীত যাচাই ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে যে আলোচনা ও পুনর্বিবেচনা চলছে তার প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থন আছে।