শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ তৈরি করাই বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সমাজের প্রতি দায়িত্ব এবং কর্তব্য হিসেবে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতকরণে এবং মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।
শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষায় তা সম্ভব নয়। বর্তমান যুগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তারা আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সমাজে স্থান করে নেবে। এ সময় শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান ব্যবস্থায় দেশের জনগণ শতভাগ সুবিধা ভোগ করবে।
নাহিদ বলেন, নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে সরকারের অর্জন এরই মধ্যে সারা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। তিনি আরও বলেন, এই একটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সার্কভুক্ত দেশগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে।
এ সময় তিনি নবীন স্নাতকদের দেশ ও জাতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে ভালো মানুষ হয়ে বিশ্বসভায় দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সমাবর্তনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ১৯৯২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনের হার কমে এসেছে। একই সঙ্গে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন এবং মানোন্নয়নের প্রচেষ্টাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ব্যাংকের টাকা ও দেশের সম্পদ লুট করে কিছু মানুষ ধনী হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, ঘুষ, চাঁদাবাজি ও প্রতারণা আজ স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে এখনই ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দীন আহমদ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, রেজিস্ট্রার আখতারুজ্জামান কায়সার, চ্যান্সেলরের স্বর্ণপদক পাওয়া গ্র্যাজুয়েট সুলতানা আকতার।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ১৩ জন কৃতী গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর এবং ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড দেন।